

প্রিয় লেখকঃ পাঁচনম্বর বাড়ির সেই গুণী মানুষটি
প্রিয় লেখক পাঁচনম্বর বাড়ির সেই গুণী মানুষটি পাঁচনম্বর বাড়ির উত্তরের বারান্দায় ঠায় বসে আছেন তিনি। দৃষ্টি ছ’নম্বর বাড়ির দিকে নিবদ্ধ। পাঁচনম্বর আর ছ’নম্বর বাড়ির মাঝখানে সেদিন অগণিত লোক। এক



চল পানসিঃইতিহাসের স্পর্শ পেতে নালন্দায় ethihaser sporsho pete nalanday
চল পানসিঃ ইতিহাসের স্পর্শ পেতে নালন্দায় (ethihaser sporsho pete nalanday) ছোটবেলায় বাড়ির বড়দের কাছে রাজা-রাজড়ার গল্প শুনে সেই যে ইতিহাস পিছু নিয়েছে আজও তার হাত থেকে ছাড়া পাইনি। কথাটা এভাবে



কবিতাঃমেহগনি,নিরো,বাৎসল্য, শঙ্খ
কবিতা মেহগনি আরেকটা কলাগাছ লাগালেই ষোলোকলা পূর্ণ তবু কলা নয়,এসেছিল মেহগনি মেয়ের বিয়ের জন্য বিডিয়ো অফিসের দান । এরপর মেয়ে বেড়েছিল,বেড়েছিল মেহগনি বিয়েটা হয়েছিল যথাকালে মেহগনিও রেখেছিল কথা,বিকিয়ে বিরাট দামে । নিটোল
কথাঃ আবোলতাবোল (ভালো থাকুক শিশুরা)
কথাঃআবোলতাবোল ভালো থাকুক শিশুরা খবরে প্রকাশ, শিগগির খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ছাত্রছাত্রীদের বন্দী জীবন বহাল থাকছে জুনের পরেও অনির্দিষ্টকাল। এ অবস্থায় পরিবার তথা জাতির ভবিষ্যতদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বয়সে




কথাঃ আবোলতাবোল-এই সব ঠকদের কাছে ঠকেও সুখ (ei sob thokder kache thokeo sukh)
কথাঃ আবোলতাবোল এইসব ঠকদের কাছে ঠকেও সুখ ‘কত করে নিল মাছটা?’ -‘তিনশো।’ – -‘ব্যাপক ঠকিয়েছে। বাজার ঘুরে দ্যাখো গে, এ মাছ হয়ত দুশোটাকা কেজিতে সেধে সেধে দিচ্ছে। আরও তুমি রোজ



গল্পঃ পদবি
গল্পঃ পদবি গল্প পদবি বছর পঁচিশের লম্বা ছেলেটি বলল-‘আপনার রহস্য উপন্যাস ‘মেজবাবুর প্রত্যাবর্তন’ এবার ‘পাঁচকড়ি দে’ পুরস্কার পেয়েছে,এজন্য অভিনন্দন।’ মুখে হাসি টেনে অনিমেষ বলল-‘ধন্যবাদ।’ ছেলেটি বলল-‘আপনাকে কয়েকটা প্রশ্ন করতে চাই,আমাদের ‘অনুসন্ধান’ পত্রিকার তরফ থেকে। পুরস্কারটা পাবার
কথাঃ আবোলতাবোল (বাঁকা কঞ্চি)
কথাঃআবোলতাবোল বাঁকা কঞ্চি সময়টা যদি হয় সকাল দুপুরের মাঝামাঝি আর কালটা যদি হয় গ্রীষ্ম তবে গ্রামের পথে বে্রোনো ছোট ছেলেটার হাতে একটা বাঁকা কঞ্চি থাকা মানেই তো সে দিগ্বিজয়ী বীর। অন্তত



গল্পঃ ছোটদের গল্প (অপয়া)
ছোটদের গল্প অপয়া আজ মাধ্যমিকের রেজাল্ট। অন্য আর পাঁচটা পরীক্ষার্থীর মত অপয়ারও বুক দুরু দুরু। সকাল থেকেই কোনও কাজে মন লাগছে না। এরই মধ্যে মা এসে দুবার শাসানি দিয়ে



কথাঃ সেই বাঁশি ফিরে আর আসবে কি?
কথাঃ সেই বাঁশি ফিরে আর আসবে কি?(sei bnasnhi fire ar asbe ki?) কথাঃ সেই বাঁশি ফিরে আর আসবে কি? একটা জলের বোতল তোবড়ানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে ড্রেনটায়। একটা টিফিনকৌটোর ঢাকনা ওয়ার্কশপের সামনের পেয়ারাগাছটার নিচে শুয়ে আছে কাত হয়ে। একটা ঝুলকালি লাগা পোশাক ঝুলছে গোডাউনের কাছের বিবর্ণ দড়িটায়। কিন্তু টাইম অফিসের সামনের ধাপিটার নিচে প্রায়-জীবাশ্ম অবস্থায় পড়ে কী ওগুলো? তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করি। অনেককষ্টে উদ্ধার হয়, একদা ওগুলো ছিল কারও খাদ্যাবশেষ। এতবছরের প্রাকৃতিক ক্রিয়াবিক্রিয়া সামলে কীকরে ওরা আজও টিকে থাকল,সেই বিষ্ময়ে ওখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে যাই চুপচাপ। কলরব মুখরিত সেইসব অতীত দিন হঠাৎই ছুটে আসে হু হু করে। কত মানুষ,কত মেশিন,কত কর্মব্যস্ততা! ওই তো নন্দীবাবু শেডে ঢুকছেন চার নম্বর রিংফ্রেমে আগুন লাগার খবর পেয়ে। ক্যান্টিনে ও কীসের সোরগোল? নিশ্চয় ওয়ার্কারদের ঠিকমত খাবার দেয়নি ভেন্ডার। এদিকে কুন্ডুবাবু টাইমফিসে দাঁড়িয়ে আছেন চিন্তিত মুখে। ব্লোরুম চালাবার লোক আসেনি। ভাবছেন ‘বদলি’ থেকে কাউকে নেওয়া যায় কি না। এসময় দোতালা থেকে নেমে সামনে হীরা পূজারকে চলে যেতে দেখে প্রধানবাবু চেঁচান-‘ও হীরা,হীরা,এই নোটিশবইটা ম্যানেজারের টেবিলে দিয়ে এসো তো!’ ‘অনেক ফুলগাছ লাগিয়েছি মিলের নানা জায়গায়। এসো দেখাই তোমাকে।’ সম্বিত ফেরে,বন্ধ মিলের এখনও রয়ে যাওয়া এক অফিসারের কথায়। ওঁর সঙ্গে যন্ত্রের মত এগিয়ে চলি,মিলের নানা কোনে জিনিয়া ডালিয়ার সৌন্দর্য অবলোকন করতে। জঙ্গলে ভরা বিশাল মিলটাকে অতীতের প্রেতচ্ছবি লাগে। শেডের সামনের রাস্তাটায় দেখি ঘুঘু চরছে একজোড়া। ভিটেতে ঘুঘু চরার পিছনে আস্ফালনের একটা গল্প থাকে অনেকসময়। এই ঘুঘু চরে বেড়ানোর পিছনে আর যাই হোক কোনও আস্ফালন ছিল না। অথচ আজ বাস্তব এটাই যে সব কলরব থেমে গেছে। মিলের ভোঁ বাজে না আর। বিটি রোডের ধারের গল্প লেখার জন্য সমরেশ বসু ছিলেন। কিন্তু রায়গঞ্জ থেকে বালুরঘাটগামী রাজ্য সড়কের ধারে এই সুতো মিলের গল্প লিখবে কে? শিল্পে অনগ্রসর উত্তরবঙ্গ যথেষ্ট আশা নিয়েই তাকিয়েছিল সেদিন সদ্য চালু হওয়া ঝাঁ-চকচকে এই মিলখানার দিকে। ১৯৮৫ সালের ২ ডিসেম্বর কমার্শিয়াল প্রোডাকশন চালু হতে এলাকার কর্মী মানুষজনেদের দিনযাপনেও মিশে গিয়েছিল মিলের আওয়াজ। মিলের নানা বিভাগ আর সেখানকার মেশিনারি ঘিরে নানা অচেনা শব্দ ধীরে ধীরে পাকাপাকি প্রবেশ করেছিল তাঁদের শব্দভান্ডারে। ‘ববিন’ ‘পিসিং’



গল্পঃ ভদ্র অভদ্র,Bhodro Abhodro
গল্প গল্প ভদ্র অভদ্র ভদ্র হবার অনেক জ্বালা। রাগ হলেও খারাপ কথা বলা যায় না। সারাদিনে ক্রমাগত রাগ গিলে যেতে হয়। তারপর রাত্রে বিছানায় শুয়ে শুধু ছটফট আর ছটফট। সত্যি কী
কথাঃআবোলতাবোল( ‘ও বক বকম বকম পায়রা…’)
কথাঃআবোলতাবোল ‘ও বক বক্ বকম পায়রা…’ ‘ঝিনেদার জমিদার কালাচাঁদ রায়রা/সে-বছর পুষেছিল একপাল পায়রা।’ ছেলে পড়ছে। পাশে বসে আমি ছেলের পড়া শুনছি আর আমার সামনে ভেসে উঠছে একটা ছবি। শুধু ছবি নয়,সঙ্গে ‘আও,আও,আও’ শব্দও। পঞ্জাবের সবুজ শস্য প্রান্তরের মাঝখানে এক চিলতে
Recent Comments